Wednesday, 21 August 2024

বাঙালির বেড়ানো সেরা তিন ঠিকানা

বাঙালির বেড়ানো সেরা চারটি ঠিকানা  

বাঙালি মানে বেড়ানো পাগল | দু একদিন ছুটি পেলো মানে বাঙালি চলল ঘুরতে | সে সমুদ্রই হোক ,পাহাড়ি হোক বা নদী হোক। বাঙালির ঘোড়া চাই চাই ,|এই জন্য বলা হয় বাঙালির পায়ের তলায় সরষে এই বাঙ্গালীদের ঘুরতে যাওয়ার এতই নেশা ,যে গরমের ছুটিতে পূজোর ছুটিতে সমস্ত পাহাড় সমুদ্র ভ্রমণ স্থল গুলো লোকে গিজগিজ করে | যার ক্ষমতা যেমন , সে ঠিক তেমন জায়গাতেই ঘুরতে যায় |তবে বাঙ্গালিরা বেশিরভাগই ভারতের মধ্যে ঘুরতে করতে পছন্দ করে | কিন্তু সুযোগ পেলে বাঙালিরা বিদেশ ঘুরতে যায় |এখন একটা প্রবণতা হয়ে গিয়েছে অল্প বয়সী বাঙালি ছেলে-মেয়েদের বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার | দেশে ঘুরতে যাওয়া বাঙালিরা যে সমস্ত স্থানে ঘুরতে পছন্দ করে ,তার কয়েকটি দিলাম | আপনারাও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন

দীঘা

বাঙালি সবচেয়ে বেশি যায় দীঘা | দীঘা হলো এমন একটা স্থান ,যেখানে প্রত্যেক বাঙালি সারা জীবনে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করে ,তবু তাদের দীঘা ভ্রমণের স্বাদ মেটে না |এখানকার উত্তাল জলরাশি ,দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র , ঝাউবন এবং আর কাছাকাছি অনেকগুলি টুরিস্ট স্পট থাকায় ,এটা সপ্তাহ আনতে পর্যটনের সেরা হয়ে উঠেছে এখানে রয়েছে প্রচুর হোটেল,রিসোর্ট ,হলিডে হোম | ছুটির দিন প্রায় প্রত্যেকটা হোটেল রিসোর্ট পর্যটকে হয়েযায় | এখানে এলে ,আগে থেকে হোটেল বুক করে আসাটাই শ্রেয় |দীঘাতে স্নান করা  অনাবিল আনন্দ সকালে উঠে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত এবং সকালবেলা ঝিনুক কুড়ানোর এর মজাই আলাদা|

এছাড়াও ,এখানে কাছেই রয়েছে সাইনসিটি ,কাছেই রয়েছে অমরাবতী পার্ক ,যেখানে আপনারা বোটিং আর ট্রয় ট্রেন ড্রাইভিং করতে পারেন |তাছাড়া যেতে পারেন ঢেউসগর পার্ক দেখতে ,সাধারণত সন্ধ্যেবেলায় বেশি জমজমাট হয় |এছাড়া কাছেই রয়েছে উদয়পুর, এখানে সমুদ্র দেখতে দেখতে ডাবের জল খেতে পারে| তিন চার কিলোমিটার দূরে রয়েছে চন্দনেশ্বর শিব মন্দির, এটি একটি প্রাচীন শিব মন্দির ,এটা উড়িষ্যা রাজ্যে অবস্থিত| দীঘা থেকে প্রায় কিলোমিটার খানেক গেলে পশ্চিমবঙ্গ শেষ হয়ে ,উড়িষ্যা রাজ্য পড়ে যায় |এই চন্দনেশ্বর মন্দির উড়িষ্যা রাজ্যে অবস্থিত , এছাড়া আপনারা একটা গাড়ি ভাড়া করে কাছাকাছি মন্দারমনিতে ঘুরে আসতে পারেন ,সেখানে একদিন থাকতেও পারেন | এছাড়া যাবেন শংকরপুর |শংকরপুর একটা  মৎস্য বন্দর | আপনি প্রচুর ট্রলার, মাছ ধরা সরঞ্জাম এবং জেলে দেখতে পেয়ে যাবেন |তবে শংকরপুরে থাকার জায়গা কিন্তু সীমিত, আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াটাই ভালো ,এছাড়াও যেতে পারেন তাজপুর |তাজপুর একদিনে এগিয়ে চলে আসতে পারেন আবার কিছু একটা দিন কাটিও আসতে পারেন |

 


কিভাবে যাবেন ?

ট্রেন ও বাস দুভাবেই যাওয়া হয়       

ট্রেনে :

  • তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস (Tamralipta Express) : হাওড়া থেকে ছাড়ে সকাল 06:45  , দিঘা পৌঁছয়  সকাল 10:05 |

  • দীঘা হাওড়া লোকাল (Digha Howrah Local): দিঘা থেকে ছাড়ে 10:35  , হাওড়া পৌঁছয় 13:55

 

বাসে :

  1. কলকাতা থেকে বাস পরিষেবা:
    ধর্মতলা (Dharmatala/Esplanade) থেকে রাজ্য পরিবহন (WBSTC), প্রাইভেট বা Volvo AC বাস পাওয়া যায়।

  2. বাসের ধরন:

    • এসি ও নন-এসি বাস

    • স্লিপার ও সিটিং

    • সকাল ও রাতের বাস পরিষেবা

  3. ভাড়া ও সময়:
    ভাড়া ₹200 – ₹500 এর মধ্যে ।
    সময় লাগে প্রায় ৪.৫ – ৫.৫ ঘণ্টা।

 

কোথায় থাকবেন ?

দীঘাতে প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি হোটেল , গেস্ট হাউস রয়েছে 
কিছু  বেসরকারি হোটেল 

  1. Abhyagama Hotel

  2. Iconic Hotel Digha

  3. Le Roi Digha

  4. Hotel Dolphin

  5. Cygnett Inn Sea View

  6. Sea Sand Digha 

কিছু সরকারি থাকবার জায়গা 

  1. Dighali Tourism Property -Old Digha

  2. Holiday Home (Labour Board)-New Digha

  3. PWD Inspection Bungalow    Old Digha - Gobindabasan

 

কথন যাবেন ? 

দিঘা বছরের সবসময় জাওয়াযায় , তবে ছুটির দিন গুলোতে ভিড় হয় অনেক বেশি | তাই ছুটির দিন গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করে যাওয়াটাই নিরাপদ |

দিঘা বেড়ানোর কিছু পরামর্শ 

  1. সরকারি পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখবেন  , হোটেল কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারে | 

  2. সবসময় নিরাপদ জায়গায় চান করবেন |  

  3. ভরা কোটাল বা দুর্যোগের সময় সমুদ্রের কাছে যাবেন না  | 

  4. পরিষ্কার , পরিছন্ন জায়গায় আহার গ্রহণ করবেন | অযথা থানীয়দের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না |

      

বকখালি

এরপরে যে জায়গার নাম বলবে সেটা হল বকখালি | বকখালি দক্ষিণ ২৪ পরগনা অবস্থিত একটাও জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র |বকখালি যেতে গেলে প্রথম আপনাকে শিয়ালদা থেকে নামখানা লোকাল ধরে নামখানা যেতে হবে |সেখান থেকে টোটো  করে বকখালি বকখালি |মোটামুটি সারা বছরই পর্যটকদের সমাগম দেখা যায় |এখানে হচ্ছে প্রচুর হোটেল সরকারি বেসরকারি উভয় ধরনের হোটেলে পাওয়া যায় | এখানে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী বালি ,সমুদ্রের ঢেউ, সুন্দরবনের বাতাস এবং দূর থেকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য একটা অদ্ভুত শোভা বর্ধন করে |আর বকখালিতে প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়া চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় ,তো যদি বকখালি ঘুরতে যান অবশ্যই কাঁকড়া চিংড়ি মাছ খেয়ে তবে আসবে। বকখালি  স্নান ছাড়াও সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখার মত ,এছাড়া আপনারা একটা ছোট গাড়ি করে ঘুরে আসবেন |

ফ্রেজারগঞ্জ , ফ্রেজারগঞ্জ একটি মৎস্য বন্দ র , এখানে প্রচুর মাছ ধরার ট্রলার দেখা যায় এবং এটি শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে নিরিবিলি একটা সমুদ্র সৈকত |বকখালি যারা বকখালি যারা যায় তারা ফ্রেজারগঞ্জ  অবশ্যই ঘুরে আসবেন ,এরপরে আমরা যেটা কথা বলব সেটা হলো জম্বু দ্বীপ, জম্বু দ্বীপ যেতে গেলে একটা ছোট নৌকা বা লঞ্চ ভাড়া করতে হয় এবং  যেতে হয় |আপনারা প্রাকৃতিক পরিবেশে পাখি দেখতে পাবেন ,এটাও সুন্দরবনের অংশ, এছাড়া একটা প্রাকৃতিক নির্জনতা উপভোগ করতে পারবেন|

 




কিভাবে যাবেন ?

ট্রেন ও বাস দুভাবেই যাওয়া হয়       

ট্রেনে :

  • 34792    Sealdah–Namkhana Local    শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে 13:20    পৌঁছয়  15:55

  • 34794    Sealdah–Namkhana Fast Local শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে  21:30 পৌঁছয় 00:15 (রাত)

বাসে :

  1. কলকাতা থেকে বাস পরিষেবা:
    ধর্মতলা (Dharmatala/Esplanade) থেকে রাজ্য পরিবহন (WBSTC), প্রাইভেট  বাস পাওয়া যায়।

  2. বাসের ধরন:

    • নন-এসি বাস

  3. ভাড়া ও সময়:
    ভাড়া ₹83 – ₹200 এর মধ্যে ।

    যাত্রা সময় আনুমানিক ২ঘন্টা ৪৫মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা ৪৫মিনিট পর্যন্ত


কোথায় থাকবেন ?

বকখালিতে প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি হোটেল , গেস্ট হাউস রয়েছে 
কিছু  বেসরকারি হোটেল 

  1. Hotel Amarabati

  2. Balaka Lodge

  3. Hotel Dolphin

  4. Hotel Bay View

  5. Hotel Inodoy (Nirala)

  6. Hotel O Sanjog 

  7. FabHotel Prime Indeedcare Resort Bakkhali

  8. Tapama Resort and Fish Restaurant

  9. Palette – Beachfront Elegance Resort 

কিছু সরকারি থাকবার জায়গা 

  1. Balutot Tourism Property

  2. West Bengal Fisheries Department Guest House 

  3. Forest Guest House (Forest Dept.) – Bakkhali / Henry Island  

 

কথন যাবেন ?

 বকখালিতে সারাবছর যাওয়া যায় , তবে শীতকালে যাওয়াটা বেশি ভালো হবে | সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়া করবে দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়ায় না যাওয়া ভালো |

 

 বকখালিতে বেড়ানোর কিছু পরামর্শ 

  1.  সরকারি পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখবেন  , হোটেল কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারে |বকখালি বাংলাদেশ খুব কাছাকাছি , তাই সরকারি পরিচয় পত্র হাতে থাকলে বিদেশি বলে প্রশাসন সন্দেহ করবে না | 
  2.  সবসময় নিরাপদ জায়গায় চান করবেন | সমুদ্রে খুব দূর পর্যন্ত নামবেন না , যেকোনো সময় হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যেতে পারে |
  3.  ভরা কোটাল বা দুর্যোগের সময় সমুদ্রের কাছে যাবেন না  | কাছাকাছি মৎস বন্দর হওয়ায় , আবহাওয়া খারাপ হলে প্রশাসন প্রচার চালাতে থাকেন , প্রশাসনের নির্দেশ পালন করে চলা উচিত |
  4.  পরিষ্কার , পরিছন্ন জায়গায় আহার গ্রহণ করবেন |


মন্দারমনি

বাঙালির আরেকটি প্রিয় জায়গা হল মন্দারমনি |মন্দারমনি খুব সম্প্রতি বাঙালির মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে | ১৩ কিলোমিটার লম্বা বিচ , সমুদ্রের জল, সোনালী বালি ,সমুদ্রের হাওয়া  জল বারবার আকর্ষণ করেছে মান্দারমনি তার নিজের দিকে | মন্দারমনি দু তিন দিন ঘোড়ার  জন্য অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ জায়গা এখানেও প্রচুর হোটেল গড়ে উঠেছে ,তবে দিঘার মত এত ভিড় হয় না এখানে। আপনি যেখানে খুশি চান করতে পারেন , হেঁটে অনেক দূর ঘুরে আসতে পারেন ,লাল কাঁকড়া দেখতে পারেন | একটা গাড়ি ভাড়া করে আপনি দীঘা , শংকরপুর, ঘুরে আসতে পারেন | এখানে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় খুবই কম খরচে | মন্দারমনি আসতে গেলে আপনাকে আসতে হবে চাউলখোলা | এখান থেকে আসতে হবে মন্দারমনি |এখানেও সমুদ্রের তীরে মাছ ভাজা খেতে পারেন ,অক্টোপাস ভাজা খেতে পারেন এবং সমুদ্রের তীরে বিভিন্ন রকম পসরা সাজিয়ে বসে যায় সন্ধ্যেবেলা ,আপনারা প্রয়োজন মত জিনিস কিনতে পারে|




 

কিভাবে যাবেন ?

ট্রেনে : কলকাতা (Howrah বা Shalimar) থেকে Contai (Kanthi), Ramnagar বা Digha পর্যন্ত লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন | সেখানথেকে ছোট গাড়ি বা টোটো |

বাসে :
কলকাতা থেকে বাস পরিষেবা:
ধর্মতলা (Dharmatala/Esplanade) থেকে রাজ্য পরিবহন (WBSTC), প্রাইভেট বা Volvo AC বাস পাওয়া যায়।

বাসের ধরন:

    এসি ও নন-এসি বাস

    স্লিপার ও সিটিং

    সকাল ও রাতের বাস পরিষেবা

    নামতে হবে চাউল খোলা , সেখান থেকে ছোট গাড়ি বা টোটো |ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা মতো |

কোথায় থাকবেন ?
এখানে প্রচুর হোটেল রয়েছে 

1) Hotel Sonar Bangla    
2) Prime Beach Resort    
3 )Hotel Mainak Mandarmani    
4) Shanti Seaview Resort & Spa
5) Sea Star Resort    
6) Ajoy Minar / Massara    
7) Sun City / Digante Resorts 

তবে সেরা ঠিকানা 'Mandarmani Ramkrishna Sebasram' , মাত্র ৬০০ টাকা দিয়ে এখানে থাকা খাওয়ার দারুন বন্দোবস্ত |সম্ভবতো , এখানে সরকারি কোনো থাকার বেবস্তা নেই | 

কিভাবে যোগাযোগ করেবন : Ramkrishna Vivekaknda Mission


 

 

কথন যাবেন ?

মন্দারমনি দারুন জায়গা , পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর একটা দারুন জায়গা | সারাবছর যেতে পারেন | ছুটির দিনগুলোতে হোটেল পাওয়া মুশকিল হয়েপড়ে | 

 

মন্দারমনি বেড়ানোর কিছু পরামর্শ 

  1. সরকারি পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখবেন  , হোটেল কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারে | কেউ কেউ পরিচয় পোর্টার প্রতিলিপি জমারাখে |

  2. সবসময় নিরাপদ জায়গায় চান করবেন |  সমুদ্রের বেশি গভীরে যাবার দরকার নেই |

  3. ভরা কোটাল বা দুর্যোগের সময় সমুদ্রের কাছে যাবেন না  | 

  4. লাল কাঁকড়া , ঝাউ গাছ নষ্ট করবেন না |মদ্যপ অবস্থায় জলে নামবেন না |

 

 


Tuesday, 13 August 2024

দক্ষিণ ২৪ পরগনা বেড়াতে যাব সেরা জায়গায়

মৌসুমী আইল্যান্ড

                                       মৌসুমী আইল্যান্ড খুব সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে| বিভিন্ন রকম কটেজ করে উঠেছে |এই কটেজ গুলো বেশিরভাগই টেন্ট টাইপের এবং কিছু কিছু  মাটির বাড়ি আছে | আপনি এখানে এসে একবেলার জন্য এসে উপভোগ করে চলে যেতে পারেন  , আবার রাত কাটাতেও পারেন  |এখানে আপনি এসে নদীর তীরে নদীতে স্নান করতে পারবেন , নদীর তীরে পায়চারি করতে পারবেন |দূর থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখতে পারবেন |  Tent- এর মধ্যে বিনোদনের আয়োজন করা হয়, যেমন বন ফায়ার বিভিন্ন রকম খাবার দাবার এবং মাছ উৎসব এইসব আয়োজন করা হয় |


 

                    এখানে এসে আপনি ক্যাম্পে বসে দোলা খেলে খেতে নদীর উপভোগ করতে পারেন এবং এখানে যে ক্যাম্প রয়েছে ,ক্যাম্পের খাওয়া-দাওয়া কিন্তু দারুন | মোটামুটি ধরে সকালবেলা আপনি গেলেই ডাবের জল পেয়ে যাবেন , তারপর জলখাবারের লুচির ঘুগনি পেয়ে যাবেন | বেলায় মোটামুটি  ভাত   ভাজা ,ইলিশ মাছ আর চিংড়ির মালাইকারি ,চাটনি ,পাপড় , কোলড্রিংস বিভিন্ন |

                             তাছাড়া উত্তম ব্যবহার তো রয়েছে  ,আপনারা যখন খুশি চলে আসতে পারেন মৌসুমী আইল্যান্ডে ,এলে অবশ্যই আগে থেকে ক্যাম্প  বুক করে আসবেন, কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে ক্যাম্প ভর্তি হয়ে যায় এবং এসে ফিরে যাওয়াটা খুব খারাপ লাগে | তাই আগে থেকে ক্যাম্প বুক করে আসাটাই বেটার |



 

 কিভাবে আসবেন মৌসুমী আইল্যান্ডে ?

                                    মৌসুমী আইল্যান্ডে আসতে গেলে, আপনাকে কলকাতা থেকে নামখানা  ট্রেনে অথবা কলকাতা থেকে নামখানা বাসে আসতে হবে |বাসে এসে আপনাকে  অটো বা টোটো করে দোষ মাইলে  যেতে হবে | দশমাইল বাজার থেকে আবার অটো করে পাতিবুনিয়া ঘাট যেতে হবে। পাতিবুনিয়া ঘাট থেকে আপনাকে ফেরি পার করে আবার , টোটো চেপে আপনার নির্দিষ্ট ক্যাম্পে যেতে হবে | কখনো কখনো বিশেষ করে শীতকালে ছুটির দিনগুলোতে পাতিবুনিয়া ঘাটে প্রচুর লাইন পড়ে যায় কারণ এরা খুবই লঞ্চে সীমিত | কিন্তু সেই সময় পর্যটকের  ধল নামে মোটামুটি | ক্যাম্পগুলোর একেকজনের জন্য সারা দিনে থাকা খাওয়া বাবদ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা নেয় , আর আপনি যদি এক বেলা গিয়ে খেয়ে চলে আসেন মোটামুটি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা লাগে |

 

কোথায় থাকবেন ? 

মৌসুমী আইল্যান্ড কোনো হোটেল নেই , সবকটি ক্যাম্প , নিচে কিছু ক্যাম্পের ডিটেলস দিলাম  

 1)Alafiia Travellers camp contact -  
  Nitya Nanda Maiti - 99331 94272

2)Mousuni island best camp 
  6296071034,, 8944801705

3) Anandadhara camp 
4) Sreeja Sana Inn Camp
5) Baluchari Beech Camp
6) Dreamland Beach Camp
7) Sand Castle Beech Camp
8) New Sonar Bangla resort

মৌসুমী আইল্যান্ড মূল আকর্ষণ 

  • উন্মুক্ত নদীর তীর  
  • উন্মুক্ত নির্মল বাতাস , শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে 
  • নদীতে স্নান 
  • নৌকায় বেড়ানো 
  • সুন্দর খাওয়া দাওয়া 
  • গ্রামের মানুষের সরল জীবন যাপন দর্শন    

মৌসুমী আইল্যান্ড বেড়ানোর কিছু পরামর্শ 

  •     সরকারি পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখবেন  , রিসোর্ট  কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারে | 
  •     সবসময় নিরাপদ জায়গায় চান করবেন |  
  •     ভরা কোটাল বা দুর্যোগের সময় সমুদ্রের কাছে যাবেন না  | 
  •     একটি নির্জন এলাকা , তাই সন্ধ্যার পর রিসোর্টের বাইরে বেশিদূর না যাওয়া নিরাপদ | পারলে একটা টর্চ সঙ্গে রাখুন |   
  •      প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন , এখানে দোকান সেরকম নেই | 

কথন যাবেন ? 

মৌসুমী আইল্যান্ড সময় যাওয়া যায় , তবে ছুটির দিন গুলোতে ভিড় হয় অনেক বেশি | শীতকাল মৌসুমী আইল্যান্ড বেড়াবার আদর্শ সময় 

কিভাবে যাবেন ?

ট্রেন ও বাস দুভাবেই যাওয়া হয়       

ট্রেনে : 

শিয়ালদহ 5:16 AM - নামখানা 8:00 AM
শিয়ালদহ 7:14 AM - নামখানা 10:08 AM

34792Sealdah–Namkhana Local13:20to 16:02


34794Sealdah–Namkhana Galloping Localto 21:30     

ভাড়া ২৫ টাকা  


বাসে :
কলকাতা থেকে বাস পরিষেবা: 


 WBTC (CTC) Kolkata - Namkhana - Bakkhali (AC VOLVO)      06:300 to 09:15
 WBTC (CTC) HABRA-NAMKHANA Non AC Seater (2+3)       07:250 to 10:40
 WBTC (CTC) HABRA - BAKKHALI Non AC Seater (2+3)        07:500 to 11:35

ভাড়া ৮৩ থেকে ২১৫ টাকা 


পাতিবুনিয়া 

                        যেটা খুব সম্প্রতি  একটি নতুন টুরিস্ট হিসাবে জনপ্রয়তা অর্জন করেছে | নামখানার আশেপাশের গড়ে উঠেছে তার নাম হলো পাতিবুনিয়া |এখানে লোকেরা আবার সমুদ্রের বিচ বলে থাকে আবার কেউ কেউ বললে নদী | যাই হোক সে বিতর্কে না গিয়ে আমরা , পাতিবুনিয়া কিভাবে যাব ? কি আছে ? কি করব ?
                                 একটা নির্জন জায়গা এখানে জলরাশি দেখতে পাবেন এবং সমুদ্রের মৃদুমন্দ হাওয়া পাবেন এবং প্রকৃতির নির্মল একটু হেঁটে গেলে এখানে একটা জঙ্গল দেখতে পাবেন | এখানে রিসোর্ট গুলো  গাইড প্রোভাইড করে জঙ্গল টা ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ,আপনারা হেঁটে যেতে যেতে মরা কচ্ছপ দেখতে পাবেন প্রচুর ,পরিমাণে বড়  ঝিনুক দেখতে পাবেন এছাড়াও জঙ্গলের মধ্যে অনেকটাই প্রবেশ করতে পারে  | হোটেলের যে লোকটি আমাদের সঙ্গে গেছিল তিনি জানালেন এখানে জঙ্গলে নাকি হরিণ পাওয়া যায় | তাছাড়াও আপনারা এখানে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর  পর সন্ধ্যেবেলা ,এই এখানে তিন-চারটে যে রিসোর্ট আছে , বন ফায়ারের ব্যবস্থা আছে এবং সন্ধ্যেকালে কিছুটা নাচ গান অনুষ্ঠান হয় পরদিন সকালবেলা আপনার স্নানও করতে পারেন অথবা একটা ছোট নৌকা নিয়ে আপনারা কাছাকাছি ঘুরেও আস্তে   পারেন |এইখানে যে নৌকা গুলো পাওয়া যায় সবই মাছ ধরার নৌকা , ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ঘন্টা |আপনি যেরকম নেবেন সেরকম আপনার অনেক দূর থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে |মোটামুটি ভালোই এবং আপনাকে সমুদ্রের সমুদ্রের ঈগল যেগুলো আছে সাধারণ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে এবং আপনি যখন নৌকো চলে যাবেন তখন আপনার চারিপাশে এরা ঘুরতে থাকবে |দৃশ্যটা অপূর্ব আমি ভিডিও তো দিয়ে দিলাম |আপনারা দেখতে পারেন |এখানে কি রিসোর্ট গুলো কোনটাই কিন্তু হোটেল নয়, এগুলো এক ধরনের ছোট ছোট রিসোর্ট এবং এর দেয়াল কিন্তু পাকা নয় ,দেওয়াল গুলো হচ্ছে কাঠের এবং মাথাটা খড় দিয়ে এবং অনেকগুলো ঘরের জন্য একটাই কমন টয়লেট রয়েছে |
 
একানকার রিসোর্ট গুলো থাকা কাওয়া নিয়ে , প্রতিদিন জন পিছু মতো নেয় | একবেলা মাছ , একবেলা মাংস নিয়ে সারা দিনের খাওয়া দাওয়া দিতে থাকে | চাইলে মাছ ভাজা , জলসা আয়োজন করে থাকে |
ফেরবার বেবস্তা রিসোর্ট থেকেই করে দেয় | রিসোর্ট গুলোর কর্মচারীদের ব্যবহার খুব মধুর |

পাতিবুনিয়া আইল্যান্ড মূল আকর্ষণ 
  • উন্মুক্ত নদীর তীর  
  • উন্মুক্ত নির্মল বাতাস , শৃগাল পাখির আনাগোনা 
  • নৌকায় বেড়ানো , 
  • জঙ্গল দর্শন , কপালে জুটলে হরিণ দেখতে পেয়েযেতে পারেন 



 


কিভাবে যাবেন ?
ট্রেন ও বাস দুভাবেই যাওয়া হয়       

ট্রেনে :

শিয়ালদহ 5:16 AM - নামখানা 8:00 AM
শিয়ালদহ 7:14 AM - নামখানা 10:08 AM

34792Sealdah–Namkhana Local13:20to 16:02


34794Sealdah–Namkhana Galloping Localto 21:30  

বাসে :
কলকাতা থেকে বাস পরিষেবা:
ধর্মতলা (Dharmatala/Esplanade) থেকে রাজ্য পরিবহন (WBSTC), প্রাইভেট  বাস পাওয়া যায়।
বাসের ধরন:
নন-এসি বাস

ভাড়া ও সময়:
ভাড়া ₹83 – ₹200 এর মধ্যে ।
যাত্রা সময় আনুমানিক ২ঘন্টা ৪৫মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা ৪৫মিনিট পর্যন্ত 
আপনি ট্রেনে আসুন বা বাসে , প্রথমে আস্তে হবে ১০ মাইল বাজার , সেখান থেকে টোটো করে পাতিবুনিয়া | 

কোথায় থাকবেন ?
সান্তনু বিচ রিসোর্ট , ফোন নম্বর :087507 00714

কথন যাবেন ? 
পাতিবুনিয়া  বছরের সবসময় জাওয়াযায় , তবে ছুটির দিন গুলোতে ভিড় হয় অনেক বেশি | তাই ছুটির দিন গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করে যাওয়াটাই নিরাপদ |

পাতিবুনিয়া বেড়ানোর কিছু পরামর্শ 
  • সরকারি পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখবেন  , রিসোর্ট  কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারে | 
  • সবসময় নিরাপদ জায়গায় চান করবেন |  
  • ভরা কোটাল বা দুর্যোগের সময় সমুদ্রের কাছে যাবেন না  | 
  • পরিষ্কার , পরিছন্ন জায়গায় আহার গ্রহণ করবেন | অযথা থানীয়দের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না |একটি নির্জন এলাকা , তাই সন্ধ্যার পর রিসোর্টের বাইরে বেশিদূর না যাওয়া নিরাপদ | পারলে একটা টর্চ সঙ্গে রাখুন |

 

 

Effortless Slider Styling: Create Custom CSS Range Inputs in Seconds

What is Range Input  range in HTML ?                   Range Input  is a control that is present from very early version of HTML. Input Rang...